Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

রংধনু খাবার

ড. সালমা লাইজু
কেন খাবার খাই? সহজ উত্তর বেঁচে থাকার জন্য, ক্ষুধা নিবারণের জন্য, স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ইত্যাদি ইত্যাদি। খাবার খাওয়া হয় ব্যক্তির সামর্থ্য, খাবারের প্রাপ্যতা, স্বাদ এবং নিজস্ব পছন্দের কথা চিন্তা করে। আধুনিক বিজ্ঞানের প্রমাণিত হয়েছে সুষম রঙিন খাবার মানুষের সুস্থতা এবং মানসিক বিকাশের জন্য খুবই উপকারী। রঙ তৈরি করে ফাইটোক্যামিক্যালস, এগুলো প্রাকৃতিকভাবে জন্মে, যাতে রয়েছে প্রচুর অনুপুষ্টি। সকল ফলেই রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস এবং আঁশ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিক্যালের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।
প্রতিদিন শুধুমাত্র একটি রঙের খাবার খাওয়া উচিত নয়। এমনটি করলে দেহে ভিটামিন এবং খণিজ পদার্থের অভাব থেকে যায়। রংধনু খাবার নিয়মিত খেলে স্বাভাবিকভাবে শরীরের অতিরিক্ত মেদ দূর করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। প্রত্যেক রঙের একটি নিজস্ব ভাষা আছে; যা মানুষের দেহ এবং মনের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণার ফলাফল থেকে বিষয়গুলো জানা গেছে।
বেগুনি : রংধনু রঙের প্রথম রং হচ্ছে বেগুনি। বেগুনি রং আকর্ষণীয় আভিজাতের প্রতীক। ন¤্র প্রকৃতির শিল্পীমনা মানুষের আকৃষ্ট করে। বেগুনি রঙে রয়েছে এন্থোসায়ানিন যা রক্তের কোলেষ্টরলের মাত্রা কমায় এবং রক্ত নালীর নমনীয়তা নিয়ন্ত্রণ করে। এন্থোসায়ানিন পানিতে দ্রবণীয় একটি রক্তাক্ত পদার্থ যা চোখের রক্ত পরিবহন বাড়ায়, নার্ভাস সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। বেগুনি আঙ্গুর, জাম, ডুমুর, বেগুনি বেগুনে এন্থোসায়ানিন রয়েছে।
নীল : নীল রং শান্তির প্রতীক। মনকে প্রশান্তি দেয় ঘুমানোর জন্য সহায়ক, মনকে নিয়ন্ত্রণ করে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়। কথায় বলে বেদনার রং নীল। নীল রঙের খাবার শরীরের ব্যাথা বেদনা কমিয়ে থাকে, এমনকি আথ্ররাইটিসের ব্যাথাও কমিয়। জাম, নীল বাধাকপিতে এন্থোসায়ানিন আছে।
আসমানী : আসমানী একটি শক্তিমালী রং যা মনের গভীরে প্রভাব ফেলে। কল্পনা এবং অনুমান শক্তিকে বৃদ্ধি করে, যারা এই রং পছন্দ করে তারা খুব অনুভূতিশীল হয়। নীল, বেগুনী, আসমানী সবগুলি রঙেই এন্থোসায়ানিন ধারণ করে থাকে।
সবুজ : হচ্ছে ঐক্য এবং সমবেদনার রং। এই রং প্রশান্তির আনে এবং সাম্যতা বিধান করে। যারা সবুজ রং পছন্দ করে তারা সহজেই সবাইকে আপন করে। শান্তিপূর্ণ জীবন পছন্দ করে, মনকে শান্ত করে, ওজন কমায়। চাপের মধ্যে থাকলে সবুজ রঙের খাবার বেশী খেতে হবে। সবুজ খাবারে রয়েছে সবুজ রঞ্জক পদার্থ যা ক্লোরোফিল এবং লুটেইন ফাইটোক্যামিক্যালস পাওয়া যায়। এগুলি এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি গুণসম্পন্ন। সবুজ জুসের ক্লোরোফিল আছে, ক্লোরোফিল হচ্চে প্রোটিন সমৃদ্ধযৌগ যা অভ্যন্তরিন ক্ষত সারায়, পরিষ্কার, এন্টিস্পেটিক, কোষ উদ্দীপক, লাল রক্ত কণিকা তৈরি করে, এটি গাছের জীবন। ক্লোরোফিল সবুজ ফটোসেনথেটিক পিগমেন্ট যা পাতার সূর্যের আলোয় পরিবর্তিত হয়ে রাসায়নিক শক্তিতে পরিবর্তিত হয়। ক্লোরোফিলকে মানুষের লাল রক্ত কণিকার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। ক্লোরোফিল একটি আশ্চর্যজনক পরিষ্কারক, শরীরের জন্য অত্যন্ত ভাল এটি।
লুটেইন চোখের সার্বিক সুরক্ষা যেমন, চোখের মাংসপেশীকে সতেজ রাখে, রেটিনা শক্তিশালী করে। এছাড়া দাঁত এবং হাড়ের সুরক্ষা প্রদান করে। সবুজ চা, বাঁধাকপি, লেটুস, খোসাসহ শসা, ব্রকলী, সবুজ আপেল, শিম, কাঁচা মরিচ, পালং শাক, সবুজ পুঁইশাক, কাঁচা পেঁপে কাঁচকলা ইত্যাদিতে প্রচুর লুটেইন আছে।
হলুদ এবং কমলা : কমলা আনন্দ আর সুখের রং। বিষন্নতা রোধ করে মনের উদ্দীপনা বাড়ায়। কমলা যারা পছন্দ করে তারা আত্মনির্ভরশীল হিসাবে সমাজে পরিচিত, একা পথ চলতে সক্ষম এবং ধৈর্যশীল, মানসিকভাবে অস্থির প্রকৃতির লোকদের এই খাবার খাওয়া উচিত।
হলুদ কমলার কাছাকাছি আরেকটি রং। বলা হয় মানসিক বুদ্ধির রং। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে এই রঙের খাবার খাওয়া উচিত। কাজের ক্ষেত্রে নতুন উদ্যম এবং উদ্দীপনা বাড়াতে চাইলে এই রঙের খাবার বেশী খেতে হবে।
হলুদ আর কমলা ফলমূল সবজিতে রয়েছে বিটা ক্রিপটোয্যন্থনিন, বিটা-ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন। হলুদ কমলা ফলমূল, সবজির ক্যারোটিনয়েডস শরীরে পরিবর্তিত হয়ে ভিটামিন এ তৈরি করে, যা দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখে, রেটিনাকে শক্তিশালী করে চোখের প্রেসার ঠিক রাখে বরং চিনতে সাহায্য করে, শরীরের চামড়া ভাল রাখে এবং হাড়কে মজবুত করে। মিষ্টি কুমড়া, পাকা পেঁপে, পাকা আম, গাজর, কুসুম ফুল, কাঁচা ভুট্রা, লাল পাকা আঙ্গুর, কমরা লেবু, মাল্টাতে প্রচুর উক্ত উপাদান গুলো রয়েছে।
লাল : লাল উৎসাহ উদ্দীপনার রং। কর্মউদ্যোগ এবং পরিবর্তনের প্রতীক। কোন বিপ্লবী কাজে উদ্দীপনা বাড়াতে লাল রঙের ব্যবহার দেখা যায়। ক্লাসে লাল রং ছাত্রদের উদ্দীপনা বাড়ায়। ক্যারোটিনয়েডস ফ্যামিলি থেকে লাল রঙ্গের রঞ্জক পাওয়া যায়। এতে রয়েছে লাইকোপেন রঞ্জক পদার্থ যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, হার্টকে সুস্থ রাখে। শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দেয় এবং কোলেস্টেরল জমতে বাধা প্রদান করে। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর লাইকোপেন, কাচা টমেটোর চেয়ে রান্নাকরা টমেটোতে            ভিটামিনের প্রাপ্যতা বেশি থাকে। টমেটো প্রধান খাবারের সঙ্গে ভিটামিন-সি এবং ফলিয়েট যোগ করলে সেটি ফ্লেভানয়েড এ পরিণত হয় যা শরীরে কোন ক্ষত সারাতে সাহায্য করে অর্থ্যৎ অভ্যন্তরীণ ক্ষত সারিয়ে তোলে, যা ক্যান্সারকে প্রতিহত করে।
লাল আপেল, লাল মরিচ, লাল পেয়াজ, লাল বাধাকপি, লাল পেয়ারা তরমুজ, অতি সস্তা লাল শাক, লাল মিষ্টি আলু, প্রভৃতি খাবারে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিনয়েডস।
সাদা : উপরের সবগুলি রং মিলে তৈরি হয় সাদা রং যা আমরা সব সময় দেখতে পাই। রংধনু তো আলেয়ার মত হঠাৎ কখনও দেখা যায়, দেখা যায় না, সাদা রংও অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সাদা শান্তির আর শুভ্রতার প্রতীক, ভদ্রতার প্রতীক। মনে প্রশান্তি আনে, সৌন্দর্য রক্ষায় বিশেষ কার্যকরী।
সাদা রং একাধিক রঞ্জক বহন করে থাকে। এতে রয়েছে এন্থোসায়ানিন, এন্টি-ইনফ্লামেটরি, এন্টি এলাজেনিক এবং ক্যান্সার প্রতিরোধী ক্ষমতা। রসুন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপরোক্ত গুণগুলো রয়েছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, হার্ট সুস্থ রাখা, সর্দি কাশি নিরাময়, ঠাÐা জ্বর, আভ্যন্তরীন ক্ষত সরাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিন্তু রসুন যখন অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে রান্না করা হয় তখন এর এই গুনাবলী নষ্ট হয়ে যায় আমরা এত রসুন খাওয়ার পরও কিন্তু উপকার কমই পাচ্ছি, মাটির পাত্রে রসুন রান্না করে খেলে এর সমস্ত গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকবে। রসুন, পেয়াজ, মাশরুম, ফুলকপি, সাদা মুলা, সাদা বেগুন, সাদা মরিচ প্রভৃতি সাদা রঙের খাবার। য়
জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা, নেত্রকোনা, মোবাইল : ০১৭১৫৭৯০৭৬৭, ই-মেইল : slsnns@yahoo.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon